হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের সবার মৃতদেহ ফেরত চেয়েছে ইসরাইল। যদি সব মৃতদেহ ফেরত দেয়া না হয়, তাহলে যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে হামাসকে পরাজিত করতে ‘ব্যাপক পরিকল্পনার’ জন্য প্রস্তুত থাকতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। তিনি বলেছেন, হামাস যদি চুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করবে। তার মধ্য দিয়ে হামাসকে পরাজিত করবে। গাজার বাস্তবতাকে পরিবর্তন করা হবে। যুদ্ধের সব লক্ষ্য পূরণ করা হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি, জিও নিউজ ও আল জাজিরা। ওদিকে হামাস আরও দুই ইসরাইলি জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা স্বীকার করেছে বাকিদের মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তা সনাক্ত করতে এবং উদ্ধার করতে বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তাদের। তবে ইসরাইলের এক কথা, যদি ২৮ জিম্মির সবার মৃতদেহ ফেরত না দেয় হামাস, তাহলে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা পরবর্তী দফায় যাবে না।
ওদিকে ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি মারওয়ান বারগোতিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৃটিশ এমপি ইলি চৌন। এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ফিলিস্তিনিদের একীভূত করার শক্তিশালী এক কণ্ঠ মারওয়ান বারগুতি। তিনি এ অঞ্চলে অর্থপূর্ণ ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। মারওয়ান বারগুতিকে বিনা বিচারে ২০০২ সাল থেকে ইসরাইলে বন্দি রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তি হওয়া উচিত।
অন্যদিকে গাজার কিছু এলাকায় আবার ইসরাইলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘের একটি এজেন্সি অভিযোগ করেছে, গাজার ওইসব এলাকায় অব্যাহতভাবে ইসরাইলি বাহিনী বেসামরিক মানুষদের হত্যা করছে। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলা থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন ইসরাইলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির।
ওদিকে সাংবাদিকদেরকে ইসরাইলের অবৈধ অপহরণ, আটক রাখা ও অশোভন আচরণের নিন্দা জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারকো রুবিওকে চিঠি লিখেছে ডিফেন্ডিং রাইটস অ্যান্ড ডিসেন্ট-এর নেতৃত্বে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক একটি গ্রুপ। এ মাসের শুরুর দিকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে রিপোর্ট করতে গেলে মার্কিন তিন সাংবাদিক ড্রপ সাইট নিউজের অ্যালেক্স কোলস্টোন, নোয়া আভিশাগ শনাল এবং জিউস কারেন্টের সাংবাদিক এমিলি ওয়াইল্ডারকে আটক করে ইসরাইল।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন সাংবাদিকদের জন্য সুপারিশ করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তবে এখনও যুক্তরাষ্ট্র এসব বেআইনি আটকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো নিন্দা জানায়নি। ওদিকে গাজা চুক্তির পর ইসরাইলের ওপর থেকে আংশিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জার্মানি প্রত্যাশা করে বলে আশা করছে ইসরাইল। ইসরাইলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হ্যাসকেল বলেন, তার দেশ আশা করে ইসরাইলের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে জার্মানি। একই সঙ্গে ভ্রমণ সতর্কতাও প্রত্যাহার করবে। (ডেস্ক রিপোর্ট)।